,

নৌ চলাচলে প্রতিবন্ধকতা বানিয়াচংয়ে সুটকি নদীতে বাঁশ পুঁতে কারেন্ট জালের বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার

বানিয়াচং প্রতিনিধি ॥ বানিয়াচংয়ে সুটকি নদীতে বাঁশ পুঁতে নিষিদ্ধ কারেন্ট জালসহ অন্যান্য জাল দিয়ে বাঁধ দিয়ে রেখেছে এক প্রভাবশালী। নিজেদের ব্যক্তি মালিকানাধীন দাবি করে এ নদীটি বছরের পর বছর ধরে তারা ভোগ দখল করে আসছে। এতে বছরে কোটি টাকা রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। এদিকে জালের বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার এবং মাছ আটকে রাখার ফলে চলমান এ নদীতে নৌকা চলাচলে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। এসব ঘটনায় বানিয়াচংয়ের উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। তিনি বিষয়টি তদন্তের জন্য বানিয়াচংয়ের সহকারি কমিশনার (ভূমি)কে নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগে প্রকাশ, ওই উপজেলার প্রবাহমান সুটকি নদীতে বহর জাল ও কারেন্ট জাল দিয়ে চলমান বর্ষা মৌসুমে মাছ আটকে রাখা এবং শিকারের জন্য বিভিন্ন স্থানে বাঁধ দিয়েছে লিজ গ্রহীতারা। এসব জাল ফেলার জন্য নদীর দু’পাড়ে পুঁতা হায়েছে বড় বড় বাঁশের খুঁটি। আবার শুকনো মৌসুমে নদীর মাঝ দিয়ে জাল দিয়ে বাঁধ দেয়া হয়। এতে নদীতে নৌকা চলাচলে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও শুকনো মৌসুমে মাছ শিকারের জন্য দেয়া হয় কিটনাশক। ফলে মাছের প্রজনন নষ্ট হয়ে যায়। যার ফলশ্র“তিতে নতুন করে মাছের বংশ বিস্তার ঘটেনা। যা পরিবেশ আইনে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সুটকি নদীটি এসএ রেকর্ডিয় মালিক কি-না এ বিষয়ে জানতে চাইলে তা এড়িয়ে গিয়ে নদীর মালিক দাবিদার বানিয়াচং উপজেলা সদরের বড় বাজার এলাকার বাসিন্দা আহমদ জুলকার নাইন জানান, নদীটির মালিক তাদের মালিকানাধীন কোম্পানী ‘এহিয়া ফিস ইন্ডাস্ট্রিজ’। এটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানী। এটি কোম্পানীর নামে রেকর্ড আছে। কোন নদী ব্যক্তি বা কোম্পানীর নামে রেকর্ড থাকতে পারে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটিতো নদী বলে কোম্পানীর নামে রেকর্ড নেই। এটি বদ্ধ জলাশয় হিসেবে রেকর্ডে আছে। সরকারি হিসেবে এটি সুটকি নদী নামে পরিচিত বলে তাকে অবহিত করলে তিনি বলেন, এটি রেকর্ড হয়েছে বদ্ধ জলাশয় হিসেবে। এটির খাজনাও নিয়েছে সরকার। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এটিকে ভূয়া কোম্পানী বলেছেন। সে জন্য আমি তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করেছি। বানিয়াচংয়ের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শামছুল ইসলাম জানান, কোন প্রকার নদী সাধারণত ব্যক্তি মালিকানাধীন থাকেনা। বানিয়াচংয়ে অনেক ধরণের ওয়াকফ স্টেট আছে। এখানে অনেক সম্পত্তি ব্যক্তি মালিকানায় আছে। সেক্ষেত্রে এসএ রেকর্ডে যদি থাকে তাহলে কিছু করার থাকবেনা। তিনি বলেন, তবে কাগজ না দেখে আমি বিস্তারিত বলতে পারছিনা।


     এই বিভাগের আরো খবর